ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় ২০২২:- অনলাইন এই শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। আর এই অনলাইনের সাথে যুক্ত হয়ে ইনকাম করাই হলো অনলাইন ইনকাম। আমরা অনেকেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় খুঁজে থাকি। তবে কোন কোন উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়? তার কোন সঠিক নির্দেশনা আমরা তেমন পাইনা। আদৌ অনলাইন থেকে সহজে কোন টাকা ইনকাম করা যায় কিনা তাও নিশ্চিত হতে পারি না। আসলেই অনলাইন থেকে ইনকাম সম্ভব। তবে এ জন্য থাকতে হবে মনোবল,সততা,শ্রম। আর থাকতে হবে নেট কানেকশন,মোবাইল /ডেস্কটপ। তবে এটাও সত্যি যে সব কাজই মোবাইল দিয়ে সম্ভব না কিছু কাজে ডেস্কটপ ব্যাবহার করতে হয়। তবে মোবাইল দিয়েও অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব।
ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ ১০টি উপায়
১. কনটেন্ট রাইটার (Content Writer)
আপনি যদি লেখালেখিতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করেন, যদি আপনার ইংরেজি ভাল হয়, তাহলে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন, এখন নিজের ব্লগ থেকেই ভালো আয় হয়। অন্যের কাজ করা আর লাগে না। বাংলাদেশে এমন অনেক সাইট আছে যারা লেখালেখি করে আয় করার সুযোগ দেয়। প্রতিদিন তো বহুত সময় ফেসবুক, টিকটকে পার করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ওখানে প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা লেখালেখি করলে মাস শেষে আপনি নিজের পকেট খরচ অন্তত চালাতে পারবেন। বাবা মায়ের কাছে আর হাত পাততে হবে না।
আপনি কোনো খরচ ছাড়াই একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে মানুষের ভরসা কম পাবেন। তাই কিছু টাকা খরচ করে ডোমেইন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আপনার ব্লগ বানিয়ে আপনি লিখতে পারেন। তবে অনেকের এতটুক ধারণা থাকার পরেও শুরু করছেন না গুগল এডসেন্স দিবে কিনা সেই ভয়ে। তবে ভয়ের কারণ নেই মানসম্মত লিখা হলে অবশ্যই এডসেন্স দিবে।
অতএব অযথা সময় নষ্ট না করে আপনি আপনার লেখাকে কাজে লাগিয়ে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং করা শুরু করুন। ব্লগিং থেকে আরো অনেক উপায় আছে ইনকাম করার।
২. ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা। এতক্ষণ উপরে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুলোও ফ্রিল্যান্সিং টাইপের। তবে আচমকা কেউ ফ্রিল্যান্সিং কী সেটা জিজ্ঞেস করলে, ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অন্যের কাজ করে টাকা ইনকাম করার বিষয়টি বুঝি।
বর্তমানে সবচাইতে বেশি লোক যেখানে কাজ করছে সেটি হচ্ছে ফ্রি ল্যান্সিং। এতে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করাও সম্ভব। সরকার তো ফ্রি ল্যান্সিং এ সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। হয়তো আগামী দিনে এটি হয়ে উঠবে একটি জনপ্রিয় পেশা। ফ্রি ল্যান্সিং এর জন্য আপনার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হবে। যেমনঃ ফাইবার, ফ্রি ল্যান্সার ইত্যাদি।
এতে বিদেশি বায়াররা অনলাইনে কাজের জন্য আপনাকে ভারা করবে। তাদের কাজ করে দিতে পারলেই তারা আপনাকে ভালো একটা এমাউন্ট দিবে। এবং সেটা ব্যাংক একাউন্ট এ নিতে হবে।তবে ফ্রি ল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি বিষয় এ পারদর্শী হতে হবে যেমনঃ Graphics Design, Photo Editing, Web Design, Website Making, Copywriting, Content Writing,Logo Design), ইত্যাদি। আপনি যে বিষয় ভালো পারেন সেই বিষয় এই শুরু করতে পারেন ফ্রি ল্যান্সিং।
তবে, শুরুতে মার্কেট প্লেসে কাজ পেতে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে আর সমস্যা হয়না, এ জন্য লেগে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়।
৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়
বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট প্রচুর ব্যাবহার হচ্ছে। তবে এ গুলো শুধু চ্যাটিং এর জন্য নয় বা সময় অপচয় এর জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে। এতে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাছ থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য স্যোশাল প্লাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য থাকাটা জরুরি।ইউটিউবের থেকেও বেশি সময় মানুষ ফেসবুকে কাটায়। আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিও একটা ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপলোড করেন আর পেজ থেকে ইনকাম করার শর্তসমূহ পূরণ করতে পারেন, দেখবেন সেখান থেকেও ভালো ইনকাম হচ্ছে।
৪.ইউটিউবিং আয় করুন।
অনলাইন ইনকাম যেহুতু করতে চাচ্ছেন সেহুতু হাতে অন্তত স্মার্টফোন আছে আর নিশ্চয়ই স্মার্টফোনের ক্যামেরাও খারাপ না। সেটা দিয়ে শুরু করুন না! ইউটিউবে মানুষ ভ্রমণ, খাওয়া-দাওয়া, পশুপাখি পালনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাচ্ছে। এসব ভিডিও বানাতে তেমন ভালো এডিটিংয়ে ও প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র ভিডিও করবেন আর নিয়ম মেনে আপলোড দিবেন; ব্যস!
কীভাবে ভিডিওর মার্কেটিং করবেন ভিডিওর ভিউ বাড়াবেন সেগুলো নিয়ে আজকে বলব না। আর যেসব বিষয়ে ভিডিও বানানোর কথা বললাম সেগুলো ভাইরাল করতে এত কস্ট ও করতে হয় না। কারণ আমি দেখেছি, আমার পরিচিত এক লোক পাখি পালন করে। সে তার পাখি পালনের ভিডিও বানিয়েই তার ইউটিউব চ্যানেল দাড় করিয়েছে। এখন সেখান থেকেই ভাল আয় করছে।
ফ্রেন্ডস,যদি অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম থেকে নিজের ক্যারিয়ার স্থাপন করতে চান তাহলে ইউটিউব একটা ভালো অপসন হতে পারে। এখানে সফল হতে ভালো গ্যাজেট এর দরকার পড়ে না,নিজের স্মার্টফোন থেকে ভিডিও শুট করে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
যেভাবে ইউটিউব চ্যানেল কে গ্রও করবেন-কিছু টিপস
বর্তমনে ইউটিউব চ্যানেল এর সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যাওয়াতে আপনাকে সঠিক সাবজেক্ট বেছে নিতে হবে।
পছন্দের সাবজেক্ট উপর চ্যানেল তৈরি করুন যে সাবজেক্টের উপর নলেজ কম সেটি এড়িয়ে যান।
বর্তমানে যারা নুতুন চ্যানেল ওপেন করবেন তাদের আমি বলবো বড় বড় টপিক গুলি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
কারণ youtube ভুরি ভুরি সেই টপিক গুলোর উপর প্রচুর চ্যানেল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ-টেকচ্যানেল,নিউস,হেলথ,gaming চ্যানেল।
আপনার পছন্দের সাবজেক্টের উপর নিচ খোঁজার চেষ্টা করুন।ধরুন আপনি টেকনোলজি উপর একটি চ্যানেল খুলনার চিন্তা করছেন।
টেকনোলজি একটি বড় সাব্জেক্ট এরমধ্যে প্রচুর ছোট ছোট niche আছে সেগুলোর উপর ফোকাস দিন।
উদাহরণস্বরূপ- Smartwatch,Drones,Android Phones,Smart TVs and Speakers,computer,Tech industry news
এই প্রত্যেকটি সাবজেক্টের উপর একটি করে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যাবে। এগুলি ভিত্তি করে চ্যানেল তৈরি করলে আপনার অনুগত দর্শক এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
এখানে আরেকটি কথা আপনাদের জেনে রাখা দরকার,টপিক চুষ করার পর আপনাদের এডিটিং ও সাউন্ড এর ক্ষেত্রে ধ্যান দিতে হবে।
কারণ ভিডিও ভালো কোয়ালাটি না হলে দর্শকরা সেগুলি পছন্দ করো না।
তাই আমি সাজেস্ট করবো চ্যানেল ওপেন করার পর ভিডিও এডিটিং ভালো শিখেনিন।
যাহোক,এবার হয়তো আপনারা এখানে কিভাবে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
ইউটিউব এর মধ্যে চ্যানেল খুলার সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে একাধিক ভাবে উপার্জন করতে পারবেন।
এমনিতে ইউটিউবে এড দ্বার ইনকাম হয় এছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,স্পনসর্ড কন্টেন, মেম্বারশিপ,সুপার চ্যাট ছাড়াও আরো অন্যান্য ভাবে ইনকাম করা যায়।
এই প্রসঙ্গেএকটি কথা বলে রাখি আপনার সর্বনিম্ন 1000 সাবস্ক্রাইব ও 4000 ঘন্টা watch টাইম হতে হবে তবেই ভিডিও মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
হ্যাঁ আর শর্ত হচ্ছে ভিডিও কনটেন্ট অরিজিনাল ও ইউনিক হতে হবে।
৫. ব্লগিং করে ইনকাম
একজন পেশাদার ব্লগার প্রত্যেক মাসে 10 হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন।আমার মত সাধারন ব্লগার হলে মাসে গড়ে 300 থেকে 400 ডলার আয় করা সম্ভব।
কিছু কিছু প্রফেশনাল সেলিব্রেটি ব্লগার আছে তারা মাসে 20 থেকে 30 হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন।ব্লগিং শব্দটির সাথে আমরা অনেকেই মোটামুটি পরিচিত। কারণে-অকারণে ইন্টারনেটে ঢুকলেই এটি সামনে চলে আসে। ব্লগ একটা ব্যক্তিগত ডায়েরির মত, অথবা নোটও বলতে পারেন। যেখানে আপনার জানা এবং মানুষের প্রয়োজন হতে পারে এমন তথ্য থাকে। মানুষের যে তথ্যটা প্রয়োজন সেটা যদি আপনার ব্লগে থাকে সেটা মানুষ অনলাইনে সার্চ করে আপনার ব্লগ থেকে জেনে নিবে।
বিগত কয়েক বছর ধরে ব্লগিংএকটা গুরুতর পেশা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।বর্তমানে বহু ইয়াং জেনারেশন এই কর্মকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
হ্যাঁ অবশ্যই আপনাকে দীর্ঘক্ষণ লেখালেখি করার ধৈর্য,দক্ষতা রাখতে হবে,এখানে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেললে সফল হবেন না।
ফ্রেন্ডস,একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ(niche)উপর আর্টিকেল লিখতে হয়।
নিশ হচ্ছে ব্লগের বিভিন্ন বিষয়কে বলা হয় উদাহরণস্বরূপ-টেকনোলজি,হেলথ,গেমিং,online টাকা কামানো,ফ্যাশন,রাজনীতি,সোশ্যাল মিডিয়া, কুকিং, ভ্রমণ ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনারা এখানে নিজের পছন্দের বিষয়ের উপর একটি ব্লগ ওপেন করতে পারেন।এখানে নিজের অভিজ্ঞতা,জ্ঞান ও নলেজ এর ভিত্তিতে ব্লগে post লিখতে থাকুন।
৬. রিভিউ করে ইনকাম | অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম
রিভিউ লিখেও অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। এই ক্ষেত্রে, আপনি কি পর্যালোচনা করতে চান তা লিখতে ভুলবেন না। আজকাল, আপনি সঙ্গীত, বই এবং পণ্যের উপর পর্যালোচনা লিখে অনলাইনে অর্থ আয় করতে পারেন।
মিউজিক নিয়ে রিভিউ লেখার বিষয়ে। মিউজিক নিয়ে রিভিউ লিখে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে হলে আপনাকে প্রথমে সঙ্গীত সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। আপনি যদি কোন মিউজিকের ভালো-মন্দ, ভুল ধরতে না পারেন, তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য মোটেও নয়।
বইয়ের পর্যালোচনা লিখে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা সঙ্গীত পর্যালোচনা উপার্জনের চেয়ে বেশি লাভজনক। কারণ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বই পর্যালোচনার জন্য 30 থেকে 100 ডলার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক কোম্পানি রিভিউয়ারদের বিনামূল্যে বইও দেয়।
তবে আপনার প্রদত্ত তথ্য যেন সঠিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কোন ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে প্রতারিত না করার অনুরোধ রইল।
৭. অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকাম
আমাদের মাঝে অনেকেই আছি যারা পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষকতার সাথে জরিত। এতে করে মাসে একটা ইনকাম আমাদের হাতে আসে। কিন্তু যুগের বিকাশে এই পড়াশুনা শুধুমাত্র অফলাইনে সিমাবদ্ধ নয় এই বিস্তার দুনিয়া জুরে।অনলাইনে ছাত্র বা ছাত্রি পড়িয়ে মাসে ৩০-৫০হাজার টাকাও আয় করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক অনলাইন স্কুল রয়েছে আপনি তাদের সাইট ভিজিট করে ধারণা নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার পাঠদান।
৮. ডাটা এন্ট্রি করে আয়
ডাটা এন্ট্রি একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ, শুরুতে প্রতিটি ফ্রিল্যান্সার অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য ডাটা এন্ট্রি ব্যবহার করত। এমনকি যদি ডাটা এন্ট্রি এখনও একটি সহজ কাজ নয়।
অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় ২০২২ ডাটা এন্ট্রি করার কাজ সাধারণত বড় প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়। আর এই কোম্পানিগুলো কেন ফ্রিল্যান্সারদের সাথে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে তা বলতে পারবেন।
এর একটা কারণ আছে, ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো খুবই সহজ। এবং তারা এই সহজ কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করে।
ডেটা এন্ট্রি কাজের তালিকাঃ
- ওয়ার্ড প্রসেসরের চাকরি
- ডেটা ক্লিনিং জবস
- অনলাইন ফরম পূরণের কাজ
- কপি এবং পেস্ট কাজ
- ইমেজ টু টেক্সট রাইটিং চাকরি
- অডিও টু টেক্সট রাইটিং জবস
- মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন রাইটিং চাকরি
- মেডিকেল কোডিং চাকরি
- ডাটাবেস আপডেটের কাজ
- ক্যাটালগ ডাটা এন্ট্রি কাজ
৯. ই-কমার্স ব্যবসা কিভাবে করবেন | অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় ২০২২
অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য ই-কমার্স একটি দুর্দান্ত ধারণা। ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স মানে অনলাইন ব্যবসা। অর্থাৎ এখানে ব্যবসার যাবতীয় কাজ অনলাইনে হবে। অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের উপায় হল ই-কমার্স।
দিন দিন মানুষ কেনাকাটার জন্য অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৯০,০০০ এর বেশি অনলাইন পণ্য ডেলিভারি করা হয়। সময়ের সাথে সাথে এই ক্রয়ের পরিমাণ বাড়বে। ক্রেতাদের কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে যে কেউ ই-কমার্সের মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারে। আর এই আয়ের পরিমাণও কম নয়।
Daraz, kaymu, ajkerdeal, rokomari, priyoshop অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট বা বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু ই-কমার্স সাইট। এখান থেকে আপনি যেকোনো পণ্য কিনতে পারবেন। অনলাইনে বা ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে অর্থপ্রদান করা যেতে পারে। ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু। আপনিও এমন একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
১০. ইংরেজি শেখানোর মাধ্যমে উপার্জন | অনলাইন থেকে আয় করার উপায়
বেশিরভাগ লোক মনে করে যে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শেখানোর জন্য আপনাকে বিদেশে বসবাস করতে হবে। কিন্তু GoOverseas.com যেমন উল্লেখ করে, "ভিডিও চ্যাটিং এবং কনফারেন্সিং প্রতি বছর সহজ এবং আরও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে, অনলাইনে ইংরেজি পাঠ শেখানো হল বিদেশে বা বাড়িতে আপনার জীবনকে অর্থায়ন করার আরেকটি দুর্দান্ত উপায়।" বেশ কয়েকটি সংস্থার জন্য যা আপনাকে অনলাইন শিক্ষার্থীদের সাথে সেট আপ করবে, টিচ অ্যাওয়েতে এই নিবন্ধটি দেখুন। অনলাইনে ইংরেজি শেখানোর জন্য রেট প্রতি ঘণ্টায় $22 পর্যন্ত যেতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, টাকা ইনকাম করাটা এতটা সহজ নয়।অনলাইন ইনকাম (Online Income) হচ্ছে বর্তমান যুগে বাড়িতে বসে আয়ের একটি অনন্ত বিকল্প রূপে বিবেচিত হয়েছে। এখানে পার্টটাইম থেকে শর্ট টাইম ও প্যাসিভ ইনকাম করার অপরচুনিটি পাওয়া যায়।আবার যারা একবার সঠিক দিকনির্দেশনা পেয়ে টাকা ইনকাম করার রাস্তায় উঠে আসে তাকে আপনি আর সহজে ধরতেও পারবেন না। কারণ সে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় গুলো সম্পর্কে খুব ভালো করে জেনে গিয়েছে।
সাধারণত আমরা ট্রেডিশনাল যে এডুকেশন পড়ে থাকি তারথেকে অনলাইন জগতে স্কিল ভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি।
আমি এখানে মনেকরি,ছাত্রছাত্রীদের যে ধরনের কাজ শিকার আগ্রহ সেগুলি প্র্যাকটিস/প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করা উচিত।সেটি ফটো এডিট ভিডিও,টাইপিং,এক্সেল, থ্রিডি আর্ট যেকোন ধরনের কাজ হোক না কেন।
ইউটিউব এর মধ্যে হাজারো ভিডিও পেয়ে যাবেন আর আশাকরি নিজের বাড়িতে একটি কম্পিউটার তো থাকবেই,আপনারা সেখানে এই কাজ গুলি প্র্যাকটিস করুন।
Post a Comment